যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্টিলথ’ আঘাত: ইরানের পরমাণু বাঙ্কারে B-2 বোমারু বিমানের ভয়াবহ হামলা..

যুক্তরাষ্ট্রের ‘গোপন মিশন’ সফল: ফোর্ডোর পরমাণু স্থাপনাকে লক্ষ্য করে B-2 স্টিলথ বিমানের মাধ্যমে ফেলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বাঙ্কার ব্লাস্টার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে ফের তোলপাড়। গোপন অপারেশনে B-2 Spirit Stealth Bomber থেকে ফেলা হয়েছে GBU-57A/B Massive Ordnance Penetrator (MOP) বোমা—যার লক্ষ্য ছিল ইরানের অন্যতম নিরাপদ ও ভূগর্ভস্থ পরমাণু স্থাপনা Fordow Fuel Enrichment Facility।

লক্ষ্য: ফোর্ডো – পাহাড়ের নিচে লুকানো পরমাণু কারখানা

ইরানের কাসভিন প্রদেশের ফোর্ডো স্থাপনাটি একটি বিশাল পাহাড়ের নিচে, প্রায় ৯০ মিটার গভীরে নির্মিত। এখানে উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সংরক্ষিত রয়েছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, অন্তত ৫ থেকে ৬টি GBU-57 বোমা সেখানে ফেলা হয়েছে, যার মধ্যে প্রতিটির ওজন প্রায় ৩০,০০০ পাউন্ড।

ফিচার বিবরণ : নাম: B-2 Spirit Stealth Bomber। নির্মাতা: Northrop Grumman, USA। বৈশিষ্ট্য: স্টিলথ প্রযুক্তি, রাডার-ফাঁকি, গভীর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত অস্ত্র : GBU-57 MOP, JDAM, B61/83 নিউক্লিয়ার বোমাক্ষমতা: ~১৮ টন অস্ত্র বহনে সক্ষমরেঞ্জ: ~১১,০০০ কিমি (refuelling ছাড়া)

GBU-57A/B: পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর ‘কনভেনশনাল’ বোমা:

ধ্বংস ক্ষমতা: ৬০ মিটার পাথর ভেদ করে বিস্ফোরণ ঘটায়অভ্যন্তরীণ টার্গেট: কমান্ড সেন্টার, পারমাণবিক গবেষণাগার, সুরক্ষিত টানেলবিশেষত: কেবলমাত্র B-2 বিমানে বহনযোগ্য

বিশ্লেষক মতামত:

সতর্কবার্তা, নাকি যুদ্ধের শুরু?

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. জেমস হলম্যান বলেন,

“এই হামলা ইরানকে সরাসরি বার্তা দিল—‘আপনার পরমাণু কর্মসূচি যেখানেই থাকুক, যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছাতে পারবে।’ এটি শুধু একটি সামরিক আঘাত নয়, এটি রাজনৈতিক কৌশল।”

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক মিনা আল-তাবরিজির মতে,

“এটি যুদ্ধের সূচনা না হলেও, তাৎক্ষণিক প্রতিশোধমূলক জবাব আসা স্বাভাবিক।”

ইরানের প্রতিক্রিয়া:

নিন্দা, অস্বীকৃতি, হুমকি ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়,

“যুক্তরাষ্ট্রের হামলা একটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। ফোর্ডো আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পারমাণবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

”ইরানের সামরিক বাহিনী জানায়,

“যুদ্ধ চাই না, তবে আত্মরক্ষা করবো সম্পূর্ণ শক্তিতে।”

ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট:

পরমাণু উত্তেজনা বাড়ছেএই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানির দাম বেড়েছে ৫%। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।বিশ্ব নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এটি নতুন এক “পারমাণবিক উত্তেজনার যুগ” ডেকে আনতে পারে।