শাবিপ্রবিতে ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, আটক দুই শিক্ষার্থী…

অভিযোগে বলা হয়, গত মে মাসে ছাত্রীকে সুরমা এলাকার একটি মেসে নিয়ে অচেতন করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করা হয়। অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থ।বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকালে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে বলা হয়, গত ২ মে সুরমা আবাসিক এলাকার একটি মেসে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে অচেতন করে যৌন নির্যাতন চালান অভিযুক্তরা। পরে তারা গোপনে ভিডিও ধারণ করে এবং তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি চেপে যেতে বাধ্য করেন।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর শান্ত তারা আদনানকে ক্যাম্পাস এলাকা থেকে এবং স্বাগত দাশ পার্থকে সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে শান্ত তারা আদনান ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার অন্যতম আসামি বলেও জানা গেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুখলেছুর রহমান জানান, “বৃহস্পতিবার বিকেলে এক নারী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ করেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিই এবং প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্তরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, “আমরা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রেখেছি। এখনও পর্যন্ত ভুক্তভোগী বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “বিষয়টি জানার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে এবং প্রশাসনিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”